hugRES67Tuesday , 9 April 2024
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আলোচিত খবর
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. নির্বাচন
  11. বাংলাদেশ
  12. বিনোদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফ স্টাইল
  15. শিক্ষাঙ্গন

মাংস পাঠাতে চায় ব্রাজিল, ঢাকার আগ্রহ আস্ত গরুতে

Link Copied!

বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত করা গরুর মাংস পাঠানোর আগ্রহ দেখিয়েছে ব্রাজিল; তবে সুযোগ থাকলে কোরবানির ঈদে জীবন্ত গরু পেতে চায় বাংলাদেশ।

রোববার ঢাকার একটি হোটেলে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর বৈঠকে গোমাংস নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে টিটু বলেন, “ওদের দিক থেকে প্রাণিজ প্রোটিনটা ফোকাসে ছিল। বিশেষ করে মাংসে আপনারা জানেন, ব্রাজিল অত্যন্ত কম দামে মাংস উৎপাদন করতে পারে, রপ্তানি করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলেছে।

“আমরা আগামী কোরবানি সামনে নিয়ে, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, যদি সস্তাই হয়- আমাদের দেশে লাইভ ক্যাটল আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা বলেছে, দেখবে।”

দুদিনের সফরে রোববার সকালে ঢাকায় পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরা। বাংলাদেশে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের এ সফরে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে এনেছেন তিনি।

দুপুরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বসেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওই বৈঠকে দুদেশের আমদানি-রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে বিভিন্ন বিষয়ে খাতভিত্তিক আলোচনা হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

আরো পড়ুন  এক কেজি খেজুরে ৫৩০ টাকা লাভ!

তিনি বলেন, গরু বা গরুর মাংস আমদানির বিষয়টি বর্তমানে ‘প্রাথমিক পর্যায়ে’ আছে।

কেমন দামে ব্রাজিল মাংস দিতে চায়, সেই প্রশ্নে টিটু বলেন, “আমরা আগে যদি আমদানি অনুমোদন করি, তাহলে দাম নিয়ে, হেলথ সার্টিফিকেশন, লাইসেন্সিং- এগুলো নিয়ে আলাপ হবে।

মাংস পাঠাতে চায় ব্রাজিল, ঢাকার আগ্রহ আস্ত গরুতে
“আমাদের এখানে প্রাণিজ আমিষ আমদানি রেস্ট্রিকটেড। পোল্ট্রি এবং অন্য মাংস আমরা আমদানি করি না। আমরা স্টাডিগুলো করে নিই। করার পরে দেখা যাবে যে, কোন প্রাইস কতটুকু আনা হবে।”

বাংলাদেশের মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়ে ব্রাজিল সরকারের জোর দেওয়ার কথা তুলে ধরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাচ্ছি শুধু বাংলাদেশের মার্কেট নয়, তারা যেন বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত করে এশিয়ার মার্কেটে সরবরাহ করতে পারে, এটা আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করেছি।

“বাংলাদেশকে শুধু বাংলাদেশ মার্কেট না দেখে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার হাব হিসাবে দেখতে পারে। এখানে প্রসেস করে যেন আসিয়ান মার্কেটে ঢোকাতে পারে।”

তৈরি পোশাক ও পাটকে শুল্কমুক্ত করার আলোচনা

ব্রাজিল থেকে আমদানি করা তুলায় তৈরি পোশাক দেশটির বাজারে গেলে তাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার দাবি ভিয়েরার কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু।

আরো পড়ুন  আন্তর্জাতিক বাজারে ২ মাসের মধ্যে চিনির দর সর্বনিম্ন

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের দেশের ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেসটা চাই। ওদের থেকে যে তুলাটা নিয়ে আসতেছি, সেই তুলার তৈরি গার্মেন্টস যেন আমরা ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস পাই।”

ব্রাজিলের তুলা কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। ২০২২-২৩ সালে ব্রাজিল থেকে ২৩৩ টন তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ; ২০২৩-২৪ সালে এখন পর্যন্ত ১৩২ টন আমদানি হয়েছে।

মাংস পাঠাতে চায় ব্রাজিল, ঢাকার আগ্রহ আস্ত গরুতে
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২২-২৩ সালে ব্রাজিল থেকে ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকার তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। তার আগের বছর এই অংক ছিল তিন হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা।

কিন্তু বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যে ৩০-৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে থাকে লাতিন আমেরিকার দেশটি। এই শুল্ক থেকে ছাড় চাইছে ঢাকা।

এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, “ব্রাজিলও অগ্রসরমান অর্থনীতি, তারাও তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে সুরক্ষা দেয়। গার্মেন্টসটা তাদের সংরক্ষিতই। শুধু বাংলাদেশ এবং চীন থেকে নেয়, বাকিটা স্থানীয়ভাবে করার চেষ্টা করছে।

“তারা যে কথাটা আমাদের দিয়েছে- শুধু ব্রাজিল নয়, আমাদের তৈরি পোশাকের রপ্তানিটা ওই অঞ্চলের জন্য যেন হয়। সুতরাং আমরা এমনভাবে কোঅপারেশনটা করতেছি, কেবল ব্রাজিল যাওয়ার টার্গেট করে নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্রাজিলকে কেন্দ্র করে রপ্তানির ব্যবস্থা করার সুযোগ আছে।”

আরো পড়ুন  নিষেধাজ্ঞার ৩ দিনের মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত

পাট রপ্তানির উপর শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য কফির জন্য ব্রাজিল কিছু পাট উৎপাদন করে।

মাংস পাঠাতে চায় ব্রাজিল, ঢাকার আগ্রহ আস্ত গরুতে
“এ বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি, আমাদের কিছু তথ্যের ঘাটতি ছিল, আমাদের কিছু তথ্য দিব এখন। দিলে ওদের আগামী ২০২৬ সালে যে রিকনসিডারেশন, তখন আশা করি আমরা এ জায়গা কিছুটা হলেও ছাড় পাব।”

ব্রাজিলে যাতে সহজেই ওষুধ রপ্তানি করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিটু।

তিনি বলেন, “আমরা ওষুধ নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে বলেছে যে, তাদের দিক থেকে কোনো অসুবিধা নাই। তাদের কিছু লাইসেন্সিং প্রসেস আছে, ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন আছে; সেগুলো আমরা নোট ডাউন করেছি।

“ইন্ডাস্ট্রির সাথে কথা বলে, তারা যেন ওই প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করে, ইন্টারন্যাশনাল প্রটোকলগুলো তারা অনুসরণ করলে তাদের (ব্রাজিলের) কোনো অসুবিধা হবে না।”

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের ‘ম্যাচমেকিং’ অনুষ্ঠান হবে।