hugRES67Wednesday , 27 March 2024
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আলোচিত খবর
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. নির্বাচন
  11. বাংলাদেশ
  12. বিনোদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফ স্টাইল
  15. শিক্ষাঙ্গন

ভারতবিরোধী স্লোগান মানেই সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি

Link Copied!

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারতবিরোধী স্লোগান মানেই তো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএ ভবনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দেয়নি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য লাখ লাখ মা ও বোনের আত্মত্যাগ নেই। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকলে দেশে এগিয়ে যাবে বর্তমান বাস্তবতা সেটি প্রমাণ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করলে যে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়, আজকে ২০২৪ সাল সেটি প্রমাণ করছে। ভারত আউট মানেই হলো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আহ্বান জানানো। আমরা তো সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাই না।

আরো পড়ুন  শুধু মাংস নয়, রমজান মাসে কম দামে পাওয়া যাবে মাছও

তিনি বলেন, যারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, ইন্ডিয়া আউট বলছে, তারা আজকে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আউট হয়েছে। তারা পাকিস্তানপন্থি এবং পাকিস্তানের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ভারত সহযোগিতা করেছে বলেই ভারতবিরোধী স্লোগান…। তারা রাজনীতিতে যখনই পরাজিত হয়ে যায় এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখনই ভারতবিরোধী স্লোগান শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার এই মাসেও আমরা দেখছি আবারো পানি ঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারত সরকার, ভারতবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে যেভাবে সহায়তা করেছে; আমরা যদি সেটি ভুলে যাই, তাহলে আমরা কী ধরনের মানুষ হলাম? এক কোটি মানুষ ভারতের শরণার্থী শিবিরে স্থান পেয়েছিল। তারা তাদের খাইয়েছে, পড়িয়েছে, শিক্ষা দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। সম্মিলিত মিত্রবাহিনী হিসেবে তারা সরাসরি অপারেশনে গেছেন। ১৭ হাজার ভারতীয় সৈন্য এ মাটিতে ঘুমিয়ে আছে। হানাদার বাহিনীর হাত থেকে আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য তারা যে অবদান রেখেছে, এটা কী আমরা ভুলে যাব? আর আজকে এই দেশ থেকে ইন্ডিয়া আউট, ভারত আউট কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে, এটা খুবই দুঃখজনক।

আরো পড়ুন  সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ডা. শাখাওয়াত হোসেনের মৃত্যু

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ করতে চায়; তারা বাংলাদেশের উন্নয়নটাকে, দেশের এগিয়ে যাওয়াটাকে সহ্য করতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ সারা পৃথিবীতে কেন বিস্ময়কর একটি জায়গায় চলে গেল, কেন এটি উন্নয়নের রোল মডেল হলো… এটা তাদের বড় কষ্ট। তারা এই উন্নয়ন চায় না, তারা সবসময় প্রভুত্ববাদের বেড়াজালের আবদ্ধ থাকতে চায়। দেশের উন্নয়ন এবং স্বাবলম্বী হওয়া তারা চায় না। এ জন্য বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, বাকশাল একটি দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে রাজনীতিকরণ করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে? এর শুধু একটাই কারণ… দেশের স্বাধীনতা সুখ যেন আমরা না পাই। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি কমিটি গঠন করে দিল। ১০ সদস্যের ওই কমিটিতে সাতজন নোবেল লরিয়েট ছিলেন। ওই কমিটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সম্পর্কে গবেষণা করল। তারা গবেষণা করে দেখল যে, এই দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এই দেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করে কোনো লাভ হবে না। এটা অসুস্থ একটা রোগী। এটাকে আর বাঁচানো সম্ভব না। তখন তারা বলল, বাংলাদেশের দিকে না তাকিয়ে অন্য কোনো দেশের দিকে তাকাতে।

আরো পড়ুন  জলদস্যুদের কবলে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে বিস্ফোরণের শঙ্কা

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিল… বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। তাদের এই থিওরির বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই দেশকে বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। এবং যেই জায়গায় নিয়ে গেছেন, সেই জায়গাগুলো এখনও আমরা ছুঁয়ে দেখতে পারিনি। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।