32 C
Dhaka
Thursday, September 19, 2024

‘এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে শাস্তি মাথা পেতে নেব’

কেউ যদি এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বন্যার্তদের সহযোগিতার উদ্দেশে ত্রাণ তহবিল গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কয়েক দিনের মধ্যে জমা পড়ে কয়েক কোটি নগদ অর্থ আর অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী। সে টাকার একটি অংশ ব্যয় করার পর অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে। সে টাকা কেন ব্যাংকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে?

আরও পড়ুনঃ  গণমাধ্যম নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য, পদাবনতি হলো বিএনপি নেতা দুলুর

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে লাইভে এসে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ফেসবুকে করা ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা বন্যার্তদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যয় করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ত্রাণ তহবিলের বেশিরভাগ টাকা পরিকল্পিতভাবেই ব্যাংকে রাখা হয়েছে। তহবিল সংগ্রহের শুরুতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে সব খরচ না করে বেশিরভাগই জমা রাখা হবে। কারণ আগের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জেনেছি যে, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর অর্থ সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এখন ওই অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। আরও আগে থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণসহ অন্য কাজগুলো করে দেওয়ার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু আয়-ব্যয়ের অডিট কমপ্লিট না হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছিল না।

আরও পড়ুনঃ  পুলিশকে আঙ্কেল ডেকেও শেষ রক্ষা পায়নি ইফাত

এ ছাড়া তিনি বলেন, নিরীক্ষা শেষ করে শিগগিরই তহবিলের সব অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করার পরিকল্পনা আছে। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার যে তহবিল গঠন করেছে, সেখানেই টাকাগুলো দেওয়া হবে। এর ফলে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবেই আমাদের তহবিলের অর্থ মানুষের কাজে আসবে বলে আশা রাখি।

বন্যার্তদের সহযোগিতার উদ্দেশে গঠিত ত্রাণ তহবিলের যে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ত্রাণ সহায়তার জন্য যত অর্থ আমরা পেয়েছি, সেগুলোর প্রতিটি পয়সার হিসাব আমাদের কাছে আছে। কাজেই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।

আরও পড়ুনঃ  পদত্যাগ নিয়ে হাসিনার বিবৃতি প্রকাশকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি জয়ের

তা ছাড়া তিনি বলেন, প্রাথমিক ত্রাণ কার্যক্রমে খরচের পর তহবিলের বাকি অর্থের বেশিরভাগই জমা রাখা হয়েছে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায়। চাইলেও সেগুলো কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ