32 C
Dhaka
Thursday, September 19, 2024

ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর ক্ষমতা ছাড়বে অন্তর্বর্তী সরকার

রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধনের জন্য অভ্যুত্থান করেছে। ছাত্র আন্দোলনের এক দফার মূল অংশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার নির্মূল। এই ব্যবস্থার সংস্কার না করে যেতে পারি তবে যে সরকারই আসুক এই অটোক্রেটিক সিস্টেমের মধ্যে এসে সে নিজেও অটোক্রেট হয়ে উঠবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর রহিম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জান, আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পুটিআইনেন।

আরও পড়ুনঃ  বল ভেবে ককটেলে ব্যাটের আঘাত, ২ শিশু আহত

আরও পড়ুনঃ দায়িত্বপ্রাপ্তদের দল তৈরির এখতিয়ার কে দিয়েছে, প্রশ্ন ফখরুলের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সমাজের গুরুত্বপূর্ণ লোক বিভ্রান্তমূলক কথা বলছেন। এই সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে তাদের মধ্য অনেকে বলছেন নতুন দল করতে হবে। আমাদের বিস্মিত লাগে নতুন দল গঠনের দায়িত্ব এদের কে দিয়েছে? তাহলে বলেন- জনগণে কিভাবে বুঝবে এরা নিরপেক্ষ কাজ করছে।’

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র জনতা বুকের রক্ত দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল কাজ শুরু করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা নাকি একবারে দেশটাকে সংস্কার করে পরিবর্তন করে ফেলবে। তাহলে তো জনগণের দরকার নেই, পার্লামেন্টের দরকার নাই। একটি পত্রিকায় ব্র‍্যাক ইনস্টিটিউট জরিপ করে দেখিয়েছে- যতদিন খুশি এই সরকার থাকুক। আমি জানিনা তারা কিভাবে এই জরিপ করলো। জনগণ তো এটা মেনে নেবে না।’

আরও পড়ুনঃ  শিশু সন্তানের গলা কেটে করোতোয়ায় ফেললেন বাবা

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হলে অবশ্যই পার্লামেন্ট প্রয়োজন। পার্লামেন্ট না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। ফলে দ্রুত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার এই দেশে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে ফেলছে। নির্বাচন করার জন্য নূন্যতম যে সংস্কার প্রয়োজন তা করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে প্রয়োজন।’

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনার অভিযোগ হাস্যকর, বলছে যুক্তরাষ্ট্র

দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর সেই সরকার সিদ্ধান্ত নিবে কোথায় কোন জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে। তখন সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে নাকি সংশোধন হবে সেটা সংসদ সিদ্ধান্ত নিবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে দীর্ঘ ত্যাগ তিতিক্ষার পরে ১৫ থেকে ১৭ বছর নির্যাতিত হয়েছি। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্যাতিত হয়ে বিদেশে আছেন। আমাদের নেতাকর্মীর নামে ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে যারা আহত নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন।’

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ