সম্প্রতি নবাবগঞ্জের দোহারে একটি জমিদার বাড়িতে শুটিং চলাকালীন সময়ে ঘটে বিপত্তি। ‘প্রেমিক যুগল’ শিরোনামের নাটকের শুটিং সেটে ঘটনাটি ঘটে, যেখানে সাংবাদিক পরিচয়ধারী এক যুবক অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা ও সহশিল্পীদের আপত্তিকর ভিডিও লুকিয়ে ধারণ করেন। এই ভিডিওগুলো পরে ‘কাউসার কিংডম’ নামের একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
এরপর বুধবার রাতে তিশা ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ তোলেন, তবে তার কিছুক্ষণ আগে একটি পোস্টে ওই যুবকের ছবিসহ ‘কাউসার কিংডম’ নামক পেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি তার পরিচয় জানতে চান। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দয়া করে কেউ এই লোকটাকে চিনে থাকলে তার বিস্তারিত জানান। আমি লাইভে আসছি ১০ মিনিটের মধ্যে, অসম্ভব বাজে ঘটনা ঘটেছে।’
ঠিক দশ মিনিটের মধ্যে লাইভে এসে তিশা জানান, শুটিং সেটে ওই যুবক লুকিয়ে তাদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেছে এবং তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছে।
লাইভে তিশা বলেন, ‘শুটিং সেটে আমরা যারা অভিনেতা-অভিনেত্রী, আমাদের লেপেল পরার আলাদা কোনো জায়গা থাকে না। নিজেদের মতো করে পরতে হয়। আমি খোলা মাঠে শুটিং করছিলাম। সামনে সাংবাদিকরা ছিলেন। ভেবেছিলাম, সাংবাদিক ভাইয়েরা কখনো এমন কাজ করবেন না।
তাই আমার মতো করে লেপেল পরছিলাম। সেই ভিডিও সে ধারণ করে ‘কাউসার কিংডম’ নামের এক পেজে আপলোড করেন। কতটা বিবেকহীন ও শিক্ষার অভাব হলে মানুষ এ ধরনের কাজ করে!
এ ধরনের কিছু ব্যক্তি আছেন যারা নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন, কিন্তু তারা আসলে সাংবাদিক নয়। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি এই লোকের বিরুদ্ধে অবশ্যই অ্যাকশন নেব। তিনি কোনো শুটিং স্পটের আশপাশে যেন কখনো না আসেন। তাকে বয়কট করা উচিত।’
এ সময় তিশা সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন, যাতে এই ব্যক্তিকে মিডিয়া বা শুটিং স্পট থেকে বয়কট করা যায়। এ ছাড়া, তিশা জানান, কাউসারের পেজে শুধু তার নয়, আরও অনেক অভিনেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে।