36 C
Dhaka
Thursday, September 19, 2024

‘ছাত্ররা আমার কথা শুনলো না, শুনলো ভুট্টো সাহেবের কথা’

আমি ছাত্রদেরকে কী কী করতে বলছিলাম আমার অভিজ্ঞতা থেকে। দেখেন নিচের স্ট্যাটাসে। ছাত্ররা আমার কথা শুনলো না, শুনলো ভুট্টো সাহেবের কথা। আমি ভিডিওতে বলছিলাম এই অবস্থা থাকবে না। তাই হইতেছে, দ্রুত ছাত্ররা জনপ্রিয়তা হারাইতেছে।

নিজের শক্তিকে সংহত না কইরা দুনিয়া চিরদিন একইরকম থাকবে এই পুর্ব অনুমান থিকা ছাত্ররা আত্মভরি হইয়া ইতিহাসের মঞ্চ থিকা ছিটকে পড়ার পর্যায়ে আসছে। খুবই দু:খজনক।

গত ২৬ আগস্টে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস-

আমি আজকের তরুণ ছাত্রনেতা হইলে কী করতাম? আমি বিপ্লবকে সংহত করতাম। কীভাবে সেটা করা যায়? আমি রাজপথে বিপ্লবী জনতার প্রেজেন্স নিশ্চিত করতাম। কী কী ভাবে?

আরও পড়ুনঃ  অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

‘খুব শিগ্রী বুঝবেন যে আপনাদের পেছনে কেউ নাই’
১/ প্রথমে সকল সমন্বয়কদের সভা করতাম দিনব্যাপী তারপরে সেই সভায় সবার মতামত নিতাম কীভাবে রাজপথে বিপ্লবী ছাত্র জনতার উপস্থিতি নিশ্চিত কিরা যায়।

২/ আমি একটা জাতীয় কাউন্সিল করতাম স্টেডিয়ামে তারপরে সেই জাতীয় কাউন্সিলের পরিকল্পনায় একটা ছাত্র জনতা ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশ ডাকতাম প্রফেসর ইউনুস সেই সমাবেশে ভাষণ দিতেন।

৩/ ঢাকার খালি জায়গাগুলো কখনো খালি রাখতাম না। যেমন শাহবাগ। প্রত্যেকদিন কর্মসূচি থাকতো। সমন্বয়কেরা সেইখানে আসতো রোস্টার করে। কথা বলতো। সবাই এখন তাদের দেখতে চায়, কথা বলতে চায়। সেই সুযোগ নিতাম। প্রত্যেকদিন যেন ঢাকায় একটা বিশাল জমায়েত থাকে সেই ব্যবস্থা করতাম।

আরও পড়ুনঃ  জন্মহার বাড়াতে চালু হচ্ছে ডেটিং অ্যাপ

৪/ জনপ্রিয় বুদ্ধিজীবী এক্টিভিস্টদের মাঠে নামাইতাম যারা ব্যাপক মানুষকে মবিলাইজ করতে পারে। একেক এলাকায় অস্বাভাবিক বড় জমায়েত করে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিতাম।

৫/ জেলায় জেলায় সফর করতাম, একইভাবে জেলাগুলোতে ছাত্র জনতার মৈত্রীকে সংহত করতাম।

৬/ যারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে বিপ্লবে তাদের রাজপথে সংগঠিতভাবে নিয়ে আসতাম। যেমন গার্মেন্টস কর্মীদের সমাবেশ। রিক্সাওয়ালাদের সমাবেশ। বস্তিবাসীদের সমাবেশ। এই সমাবেশে ছাত্ররাও যেতো বক্তব্য দিতো।

৭/ রাজনৈতিক দল যারা এতোদিন মিছিল মিটিং করতে পারে নাই। তাদের উৎসাহিত করতাম মাঠে কর্মসূচি দিতে। মাঠে থাকতাম বিপুল শক্তি নিয়ে।

আমার অনুমান ছিলো আমাকে সরকার ফেরত নিয়ে এই কাজে লিপ্ত করবে। আমি মাঠ থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক কর্মী। আমি ব্যাপক জনতাকে মবিলাইজ করতে পারবো। কিন্তু হায় আমার এই আকাঙ্ক্ষাকে কেউই মুল্য দিলো না। আমি যেইখানে থাকি সেইখানে করেছি। বাংলাদেশে আমি ফিরে গেলে প্লাবনের মতো মানুষকে নামাইতাম। সরকারের উপদেষ্টারা ভাবলো আমি সরকারের কাছে সাহায্য চাইতেছি। জ্বি না ভাই, আপনি আমারে সাহায্য করার কোন হরিদাস পাল। আমি মাঠে থাকলে এই সরকার শক্তিশালী হইতো। এখনো সময় আছে ভাইব্যা দেখেন আমার এই ক্ষুদ্র শক্তিকে আপনার দরকার কিনা?

আরও পড়ুনঃ  জায়গা না পেয়ে ঘরের বারান্দায় মাকে কবর দিলেন সন্তানরা


(পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট থেকে হুবহু নেওয়া।) পিনাকী ভট্টাচার্য : লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ