24 C
Dhaka
Friday, November 22, 2024

আইনমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর আন্দোলন সমন্বয়কের ফেসবুক স্ট্যাটাস

কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আলোচনায় বসার যে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়’।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে আইনমন্ত্রীর কথা বলার পরপরই তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

তার স্ট্যাটাসটির পর হাজারো মানুষ শেয়ার, কমেন্ট ও রিয়েক্ট করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী জানান, কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকার রাজি আছে। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে তারা আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার জন্যও প্রস্তুত। তাদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আমাকে এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসব। তারা যখনই আলোচনায় বসতে চায়… সেটা যদি আজকে হয়, আজই আমরা বসতে রাজি আছি।

আরও পড়ুনঃ  ‘যারা দেখিয়ে ধর্মচর্চার নামে বাড়াবাড়ি করে, তারা বাটপার’

উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।

এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনঃ  দুপুরের মধ্যে ধেয়ে আসছে ঝড়

এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।

এরমধ্যে গত মঙ্গলবার (১৬ ‍জুলাই) মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন রয়েছেন।

এদিকে পরিস্থিতির যেন আরও অবনতি না হয় সে জন্য দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। পাশাপাশি সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  নামাজ পড়ে ফেরার পথে গুলিতে নিহত আল আমিন, ভয়ে দেহ ধরেনি কেউ

তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। এ নিয়ে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা। এতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অনেকেই আহত হয়েছেন।

এমন পরিস্থিতি বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে সম্পূর্ণ শাটডাউন পালন করার ঘোষণা দেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

এই কর্মসূচি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এসব সংঘর্ষে ঢাকায় চারজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ